অভাব অনটনের মধ্যে WBCS ক্র্যাক করে BDO হলেন মুর্শিদাবাদের মেয়ে, জেনে নিন সেই শিক্ষামূলক জীবন কাহিনী।
রোকাইয়া সুলতানা(Rokaiya Sultana)। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে (Doulatabad) একটি আলোচিত নাম হলো এই রোকাইয়া সুলতানা। ছোটো থেকে অভাব অনটনের মধ্যে বড়ো হওয়া গরীব চাষীর কন্যা রোকাইয়া এখন জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে এগিয়ে চলেছেন নিজের স্বপ্নের দিকে। WBCS এর মত কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন তিনি BDO পদধারী। রোকাইয়া সুলতানা WBCS এর General Category তে দখল করেছেন ২৭ তম স্থানটি। জেনে নিন তাঁর কাহিনী।
রোকাইয়া সুলতানা হলেন মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের রুহিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা রুহুল হোসেন (Ruhel Hossain) পেশায় একজন চাষী এবং মা আর্জুমা খাতুন (Arjuma Khatun) একটি স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করেছেন রোকাইয়া।
রোকাইয়া সুলতানা তাঁর প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করেন বহরমপুরের মহারানী কাশীশ্বরী বিদ্যালয় থেকে। এখানেই তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপরে KN College এ ভর্তি হন Chemistry Honours নিয়ে। ভালো ভাবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পড়ে রোকাইয়া Masters Degree অর্জন করেন Kalyani University থেকে। এই সময় থেকেই তিনি শুরু করেন WBCS পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা। পুরোদমে চলে প্রস্তুতি।
WBCS এর জন্য পরবর্তীকালে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলেও সেটি করোনা মহামারীর (Covid)সময় বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে বাড়িতেই চলতে থাকে প্রস্তুতি। এরমধ্যেই প্রবেশ করেন বিবাহিত জীবনে। তবে যাই হয়ে যাক, পড়াশোনার হাত তিনি ছাড়েননি।
এরপর ২০২১ সালে তিনি ফের WBCS পরীক্ষায় বসেন এবং হাজার প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে সাফল্য আসে তাঁর দোরগোড়ায়! স্বাভাবিকভাবেই হতদরিদ্র পরিবারের এই মেয়ের সাফল্যে খুশি গোটা গ্রাম। খুশি রোকাইয়ার অভিভাবকরাও!
দৌলতাবাদ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার সংবর্ধনা তুলে দেওয়া হল রোকাইয়ার হাতে। রোকেয়ার এই সাফল্য অবশ্যই শিক্ষণীয় (Inspirational) সকলের কাছে। কিভাবে একটি গরীব চাষী পরিবারের মেয়ে সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে জয় লাভ করলেন তা অবশ্যই শিক্ষণীয়!
-Written by Riya Ghosh