বেকারদের জন্য সেরা ৫টি ব্যবসার আইডিয়া, বদলে যেতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ।
এখনকার দিনে অনেক ছেলে মেয়েরাই সরকারি চাকরির(Government Job) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে আবার টাকা উপার্জনের তাগিদে বা পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের পরে বিভিন্ন রকম কর্মজগতে প্রবেশ করেন। অনেকে আবার পড়াশোনা করতে করতেও বিভিন্ন রকম পার্টটাইম চাকরি বা কাজ করে থাকেন। তবে বর্তমানে চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসায় অনেক ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন রকম ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
ব্যবসা করার জন্য অনেকের কাছে মূলধন থাকে না, অনেকের কাছে আবার ব্যবসা করার মতো নির্দিষ্ট আইডিয়া থাকেনা। এইজন্য ব্যবসা করার ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আপনিও যদি বেকার(Unemployed) বাড়িতে বসে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি টাকা উপার্জন করার রাস্তা(Business Ideas for Unemployed Students), যেগুলি ফলো করলে আপনারা প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমেও উপার্জন করতে পারবেন আপনারা(Online Job Idea)। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি ব্যবসার কথা জানানো হবে, যেগুলি বেকার যুবতীদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে। সঠিক পথে এগোতে পারলে এই ব্যবসা গুলি আপনাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে।
Table of Contents
খাবারের হোম ডেলিভারী:
এখনকার দিনে মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, ইচ্ছামত রান্না করার সময় পান না। এই জন্য অনেকেই খাবার জন্য বাইরের কোন অ্যাপ বা ফুড ডেলিভারির(Food Delivery) উপর নির্ভর করেন। এমন অবস্থায় আপনি যদি খাবার ডেলিভারি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বাড়িতে একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্না করে সেই খাবার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে আপনাকে। পাশাপাশি ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির সাথে সংযুক্ত হলে সেখান থেকেও আপনি অনেক অর্ডার পেতে পারবেন। খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
ক্যাটারিং বিজনেস:
বড় কোন উৎসব, অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হয় ক্যাটারিং সার্ভিসের। ক্যাটারিং সার্ভিস(Catering Service) এর দায়িত্ব থাকে রানার ঠাকুর জোগাড় করা থেকে শুরু করে খাবার তৈরি, খাবার সার্ভ করা ইত্যাদি। যে কোনো রকম অনুষ্ঠানেই ক্যাটারিং সার্ভিসের লোকজন দেখা যায়।
এমন একটি ক্যাটারিং বিজনেস যদি আপনি শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর ঘুরে তাকাতে হবে না। তাছাড়া বিয়ের মরশুমে উপার্জন হবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এছাড়া সারা বছর ধরেই জন্মদিন, বিবাহ, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি লেগেই থাকে। সেজন্য কাজের অভাব হবে না এখানে। ক্যাটারিং সার্ভিস এ কাজ করার মত কর্মঠ ছেলে বা মেয়ের খোঁজ করতে হবে আপনাকে। তাদের সবাইকে নিয়ে একটি ক্যাটারিং দল বানিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
তবে এই কাজ একটু প্রমোশনের প্রয়োজন হতে পারে। ঠিকভাবে প্রচার না করলে আপনার ক্যাটারিং সার্ভিস এর সম্পর্কে বেশি মানুষ জানতে পারবে না। তাই উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে যখন বহু সংখ্যক লোকজন আপনার ক্যাটারিং সার্ভিস এর কথা জানতে পারবেন তখন কাজের পরিমাণও পাবেন আগের থেকে অনেকটাই বেশি।
অনলাইন বেকারী:
এখনকার দিনে বিয়ে, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, এনিভার্সারি থেকে শুরু করে যে কোন শুভ কাজে ব্যবহার করা হয় কেক। তাছাড়া কুকিজ, শুকনো মিষ্টি, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার গুলির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
আপনি যদি কেক, কুকিস, শুকনো মিষ্টি, বিস্কুট এগুলি তৈরি করতে পারেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এজন্য প্রথমে আপনাকে কোন একটি কমার্শিয়াল ওয়েবসাইটে সেলার একাউন্ট তৈরি করতে হবে, এবং সেখান থেকেই আপনি প্রতি মাসে বহু সংখ্যক গ্রাহক পেয়ে যাবেন।
গয়না তৈরি:
আগেকার দিনের মতো সাবেকি গয়নার পরিবর্তে বর্তমানে মানুষ পছন্দ করেন কাস্টমাইজ ডিজাইনের গহনা(Customises Designed Jwellery) পরতে। অনেকে আছেন যারা প্রাইকারি মার্কেট থেকে বিভিন্ন রকম সাজের সামগ্রী কিনে আনেন এবং সেগুলি জোড়া লাগিয়ে নতুন ডিজাইন এবং নতুন ধরনের অলংকার তৈরি করে থাকেন।
হোলসেলার বা বড় কোন মার্কেট থেকে রং, তুলি, চুমকি, পুথি ইত্যাদি কিনে এনে সেগুলো জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা যায় সুন্দর সুন্দর সব ডিজাইনের অলংকার।
অনলাইন বা অফলাইন উভয় পদ্ধতির মাধ্যমে আপনারা আপনাদের কাস্টমাইজড পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক গ্রুপ আছে, যেখানে জিনিস কেনা বেচা করা যায়। এই গ্রুপগুলোতে যুক্ত হলে আপনারা আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহক পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে।
শিক্ষকতা:
বর্তমানে শিক্ষিত বেকার যুবক এবং যুবতীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে এমন অবস্থায় অনেকেই আছেন যারা হাত খরচের জন্য বা সংসার চালানোর জন্য ফুল টাইম বা পার্ট টাইম হিসাবে টিউশন পড়িয়ে থাকেন।
অনলাইন বা অফলাইন উভয় মাধ্যমে আপনারা টিউশন ক্লাস(Tution Business) করাতে পারবেন। অনলাইন ক্লাস(Online Class) করানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের ওপর ভিডিও রেকর্ড করে সেটিকে ইউটিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে হবে। অফলাইন টিউশনি করার জন্য বাড়িতে বা অন্য কোন জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে অনেক ছাত্রছাত্রীদের একসাথে পড়াতে পারবেন আপনারা।
ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি হলে তাদের দেখাদেখি আরো নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার কাছে শিখতে বা পড়তে আসবে। এবং ক্রমশ প্রতি মাসে আপনার উপার্জন বাড়তে থাকবে।