কথায় আছে যে সাধনা থাকলে তবেই বিদ্যাকে পাওয়া সম্ভব এবং যদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অদম্য জেদ নিয়ে এগোনোর সাহস থাকে তাহলে সাফল্য অবশ্যই আসবে।আর সেটাই প্রমাণ করে দেখালো কাশ্মীরের যুবক আহমেদ গানাই(Ahmed Ganai)! অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকা সত্বেও নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন তিনি। আসুন সেই কাহিনী শোনা যাক। (Success History of Ahmed Ganai)
রংমিস্ত্রির (Painter) মতো পরিশ্রমের কাজ করেও ডাক্তারিতে ভর্তির National Eligibility cum Entrance Test Under Graduate অথবা NEET UG মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের NEET UG পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ২১ লক্ষ। এতজনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১,৪৫,৯৭৬ জন। অন্যান্যদের মতোই এবারের নিট ইউজি পরীক্ষায় (NEET UG) বসেছিলেন পুলওয়ামার (Pulwama) যুবক আহমেদ গানাই(Ahmed Ganai)। পেশায় রংমিস্ত্রি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেন আহমেদ।
সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রংমিস্ত্রির (Painter) কাজ করে রাতে পড়তে বসতেন তিনি। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল NEET পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট (Good Result) করা। তার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে গিয়েছেন আহমেদ। তাঁকে তাঁর প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান যে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বইগুলো (Books of 11th and 12th Class) খুব ভালো করে খুঁটিয়ে পড়তেন তিনি। সমাধান করেছেন একের পর এক বিগত বছরের প্রশ্নপত্রও(Questions of Previous Years)।
নির্দিষ্ট রুটিন (Routine) মেনে প্রত্যহ পড়াশোনা করে গিয়েছেন আহমেদ। দরিদ্র পরিবারের সন্তান আহমেদের কাছে ছিলোনা কোনো প্রাইভেট কোচিং (Private Coaching) নেবার টাকা। সম্পূর্ণ নিজের একার চেষ্টাতেই প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। নিজের পড়াশোনার ওপর বিশ্বাস রেখেই পরীক্ষায় বসেছেন আহমেদ।
এমনকি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের দিনেও একটি বাড়িতে রঙের কাজ করছিলেন তিনি। সে সময় খবর পান যে NEET UG পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে এবং তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬০১। এমন ভালো রেজাল্টে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি আহমেদ ও তাঁর পরিবার(Ahmed and his Family)।
আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যেও পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন যে, পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। একবছর সফল না হলে একদমই হাল ছাড়বেন না। আবার চেষ্টা করুন, সফলতা আসতে বাধ্য।
-Written by Riya Ghosh