WB TET: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবার ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচি’ টেট উত্তীর্ণদের।
চাকরি নিয়ে দুর্নীতির রেশ। যোগ্যরা রাস্তায় অনশন করছেন বহুদিন ধরে। অযোগ্যরা এবং অনুত্তীর্ণরা চাকরি করতে গিয়ে এতদিনে ধরা পড়ছেন। বেরিয়ে আসছে রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি। টেট(TET) উত্তীর্ণরা বহুদিন ধরেই অনশন করছেন তবু সঠিক বিচার পাচ্ছেন না।
শিক্ষাকর্মী মিরাতুন নাহার (Miratun Nahar) অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) দিকে! তাঁর মতে, টেট উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা না করেই আদালতের নির্দেশে বরখাস্ত (Discharge) হয়েছেন এমন প্রার্থীদের হয়েই সওয়াল করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমনকি সিভিক শিক্ষক অর্থাৎ সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civik Volunteer) এবার থেকে শিক্ষক হিসেবে পড়ানোর সিদ্ধান্তেরও নিন্দে করেছেন তিনি।
টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচি’ (Mass Signature Programme) শুরু করতে চলেছেন। তাঁদের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন মিরাতুন নাহারও। তিনি বলেন, “পুলিশ মহলকে শিক্ষা দফতরে নিয়োগকর্তা হিসাবে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদেরকে নিয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে, যারা সিভিক ভলান্টিয়ার(Civik Volunteer)। আমরা তো দেখেছি, আনিস খান হত্যার ক্ষেত্রেও সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civik Volunteer) কাজ করেছে। এখন তো হার্ট ফেল করার মতো অবস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক (Teacher) হিসাবেও সিভিক ভলান্টিয়ার (Civik Volunteer) নিয়োগ করা হচ্ছে। যোগ্যরা রাস্তায় বসে রয়েছে, রাজ্যে কি শিক্ষকের অভাব পড়েছে?”শিক্ষাকর্মী মিরাতুন নাহারের সঙ্গে একই বক্তব্য রেখেছেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও(Mousumi Koyal)। আন্দোলনরত প্রার্থীদের মধ্যে একজন পিয়ালী গুচাইত (Piyali Guchait) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যেখানে গোটা শিক্ষা দফতর জেলে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী একটা কথাও বলছেন না। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাঁর ঘুম ভাঙাতে চাইছি।”
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৫০লক্ষ প্রার্থীর সাক্ষর (Signature) নেওয়া হবে। সেই সাক্ষর একত্রে সংগ্রহ করে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথা ভাবছেন টেট উত্তীর্ণ যোগ্য আন্দোলনকারী প্রার্থীরা।
-Written by Riya Ghosh