ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম কে তৈরি করেছিলেন? জেনে নিন।
আমাদের ভারতবর্ষে প্রতি বছর ১৫ ই আগস্ট দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস(Independence Day) হিসাবে পালন করা হয়। স্বাধীনতা পাবার পর কেটে গিয়েছে ৭৬ বছর। ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে আড়ম্বর এর সাথে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বহু মানুষের আত্মবলিদান এর জন্য আজ আমরা স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হই। প্রত্যেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রয়েছে একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভারতবর্ষের রয়েছে একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা। তবে জানেন কি ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম কে তৈরি করেছিলেন?
ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা একাধিকবার পরিবর্তন হয়েছে। সবশেষে আমরা বর্তমানে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা পেয়েছি। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আয়োজিত গণপরিষদের একটি অধিবেশনে পতাকার বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয়। সেই বছর ১৫ অগস্ট এটি ভারতের সরকারি পতাকার স্বীকৃতি লাভ করে । গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক। সাদা আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ আলোর প্রতীক। এবং সবুজ মৃত্তিকা তথা সকল প্রাণের প্রাণ উদ্ভিজ্জ জগতের সহিত আমাদের সম্বন্ধ প্রকাশ করে।
ভারতের ইতিহাস অনুযায়ী ১৮৮৩ সাল থেকে ভারতের জাতীয় পতাকা মোট ১৭ বার বিবর্তিত হয়েছে। ভারতের জাতীয় পতাকায় এর আগে কখনো হলুদ, কখনো লাল এবং কখনো সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের কোন নির্দিষ্ট পতাকা ছিল না। পরাধীন ভারতের নির্দিষ্ট জাতীয় পতাকা না থাকারই কথা। ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের একটি বৈঠকে ভারতের নিজস্ব একটি জাতীয় পতাকার প্রস্তাব পেশ করা হয়। তখন পেঙ্গলি ভেঙ্কাইয়া প্রথমবার ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইন তৈরি করেন।
জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করার পর তিনি ১লা এপ্রিল, ১৯২১ সালে বিজয়ওয়াড়া শহরে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর কাছে পতাকাটির নকশা উপস্থাপন করেন। যার ওপরে গেরুয়া রং, মাঝে সাদা এবং একদম নিচে ছিল সবুজ রং। পতাকার মাঝে ছিল একটি চরকা।
পরবর্তীকালে মাঝের সাদা অংশের ২৪টি দন্ডযুক্ত অশোক চক্র স্থান পায়। মিসেস সুরাইয়া বদর-উদ-দিন ত্যাবি কর্তৃক জমা দেওয়া স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাটি ১৭ ই জুলাই ১৯৪৭ তারিখে পতাকা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
তবে জাতীয় পতাকার প্রথম নকশা তৈরি করেছিলেন পেঙ্গলি ভেঙ্কাইয়া। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মহাত্মা গান্ধীর একজন বিশ্বস্ত অনুচর।