শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জের, শিক্ষকদের লোন দেওয়া বন্ধ করলো ব্যাংক।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (West Bengal Techers Recruitment Scam) বহু শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি যাচ্ছে। আদালতের (Kolkata High Court) নির্দেশে কয়েক হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। একাধিক সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে। এবার ব্যাংকের কাজেও এই নিয়োগ বাতিলের প্রভাব পড়েছে।
শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা কমছে, এই যুক্তি মেনে শিক্ষকদের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিতভাবে ঋণ দেওয়া বন্ধ করলো বালুরঘাটের একটি সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠান। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। বৈধ শিক্ষকরাও সমাজের প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে এই ঘটনার জন্য। সামাজিক হয়রানির পাশাপাশি অমর্যাদারও শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষকদের।
সরকারি চাকরি(Government Job) পাওয়ার পর অনেকেরই লক্ষ্য থাকে বাড়ি সুন্দরভাবে সাজানোর। এই জন্য অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি আরো অনেক ইচ্ছে পূরণের জন্য মানুষ ব্যাংক থেকে লোন(Bank loan) নিয়ে থাকেন। অন্যান্য চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লোন নিতে কোন রকম সহ অসুবিধা হবার কথা নয়। কিন্তু শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যাংক বিষয়টা অন্যভাবে দেখছে।
কোন শিক্ষক লোনের জন্য আবেদন করলে তার নিয়োগ কতদিন আগে হয়েছে, চাকরির স্থায়িত্ব কতটা ইত্যাদি খুঁটিনা তথ্য আগে থেকে বুঝে নিতে চাইছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা বৈধ শিক্ষকদের কাছে সত্যিই অপমানজনক।
এছাড়া জানা যাচ্ছে যে বহু শিক্ষকরা যারা লোনের জন্য আবেদন করেছেন ব্যাংকে, তাদের লোন আটকে রাখা হয়েছে এবং তাদের দেওয়া সমস্ত তথ্য বারবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যাংকের তরফ থেকে শিক্ষকদের লোন দেওয়ার আবেদনে বিশেষ চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারণ কোন শিক্ষকের চাকরি যদি আগামী দিনে বাতিল হয়, তিনি তবে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে পারবেন না।
দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল Co-Operative Bank এর CEO তনুজ কুমার সরকার জানিয়েছেন যে,শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন তারা ৷ অনেক শিক্ষক রয়েছেন ,যাদের ঋণ দেওয়ার পর চাকরি চলে গেছে। চাকরি বাতিল হবার ফলে সেই লোনের টাকা ব্যাঙ্ক ফেরত পাচ্ছে না৷ এজন্য নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্ত সালের পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়েছে, সে সমস্ত সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। সমগ্র বিষয়টাকে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, তারপরেই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।