উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য নির্ধারিত ১০ হাজার টাকা কবে দেওয়া হবে? জেনে নিন বিস্তারিত।
বিগত কয়েক বছর অর্থাৎ করোনা কাল (During Covid Period) থেকে পড়ুয়াদের সুবিধার্থে শিক্ষা দফতর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যাবের (Tab for All Examinee) জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের (State Government) তরফ থেকে। সাধারণত পড়ুয়াদের ট্যাবের এই টাকা দেওয়া হয় উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার (Higher Secondary Test Examination) কিছুদিন আগে।
তবে এইসময় ট্যাবের টাকা দেওয়াতে অভিযোগ উঠেছে যে ট্যাবের টাকা এমন সময়ে দেওয়া হয় যে তা পরীক্ষা-প্রস্তুতির কোনও কাজেই লাগে না। কারণ ততদিনে পরীক্ষার দামামা বেজে ওঠে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে এই ট্যাব (Tab) ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা প্রস্তুতিতে খুব একটা কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারছেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এই বছরে অত্যধিক তাপপ্রবাহের (Heatwave) দরুণ প্রায় দেড় মাস ধরে স্কুলগুলিতে চলেছে গরমের ছুটি। ফলস্বরূপ পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। সামনেই নির্বাচনের জন্য ফের ছুটি পড়তে চলছে এবং পুজোর লম্বা ছুটি পরার জন্য হাতে রয়েছে মোটে চার মাস। এই অবস্থায় সকলেরই মত যে পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করাটা চাপের হবে।
বিশেষত আগামী বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক, দুটি পরীক্ষার দিনক্ষণই (Exam Routine) একমাস এগিয়ে আনা হয়েছে। যার জন্য চাপ বৃদ্ধি হয়েছে আরো। শিক্ষকমহলের মতে এই অবস্থায় যাতে সিলেবাস চাপ সৃষ্টি না করে তাই ট্যাবের টাকা (Money for Tab) শিক্ষার্থীদের হাতে আগে দেওয়া হোক। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থেই এই দাবি তাঁদের।
পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Examination) ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। শুধু শিক্ষকমহলই না, শিক্ষার্থীরাও সিলেবাস (Syllabus) শেষ করার চাপে মরিয়া হয়ে উঠছে। শিক্ষার্থীদের দাবি যে, গতবার অর্থাৎ চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ট্যাব (Tab) কেনার জন্য অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার যেহেতু পরীক্ষার দিন এগিয়ে এসেছে এবং সিলেবাস এখনো অনেকটাই বাকি তাই তাদের দাবি যে টেস্টের অন্তত দুমাস আগে দেওয়া হোক ট্যাবের জন্য ধার্য টাকা।
অনেকে আবার টাকার পরিবর্তে চাইছে সরাসরি ট্যাব! যদিও তা অন্যায় আবদার বলেই ভাবা হচ্ছে। এর আগেও অভিযোগ উঠেছে নকল রসিদ (Fake Receipt) দেখিয়ে ট্যাবের টাকা নেওয়ার। অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র (Krisnangsu Misra) সায় দিয়ে বলেছেন যে শিক্ষা দফতরের তরফে সরাসরি ট্যাব কিনে পড়ুয়াদের দেওয়া হোক এবং সেই ব্যবস্থা যত দ্রুত করা হবে ততই ভালো।
-Written by Riya Ghosh