ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ চাকরিতেই ভাগ বসাবে AI, আশঙ্কা প্রকাশ বিশেষজ্ঞদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence(AI) নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে আলোচনা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভালো, খারাপ দিক নিয়ে সরব হয়েছেন বহু মানুষ। মানুষের চাকরিতে ভবিষ্যতে ভাগ বসাবে AI, এই আশঙ্কাও করছেন সকলে। তবে কোনো কোনো বিজ্ঞানী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিকও দেখছেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে নতুন ইদুর দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছে গুগল থেকে শুরু করে মাইক্রোসফট। অন্যান্য দেশি বিদেশি বহু কোম্পানিও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের যত বেশি আগ্রহ, তার থেকে বেশি ভয় হলো চাকরি যাওয়ার।
ব্রাজিলিয়ান গবেষক বেন গোয়ের্টজেল সম্প্রতি এক বড়ো দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর পরিচয় এআই গুরু নামে। তাঁর মুখেই আশঙ্কার কথা শোনা গেল। তিনি জানান যে, বিশ্বে 80 শতাংশ চাকরিতে ভাগ বসাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সংবাদমাধ্যম এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোয়ের্টজেল ভবিষ্যৎ গণনা করলেন এআই-এর। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাও রাখা উচিত।
তিনি বলেন মানুষের মতো জটিল জিনিস সমাধান করার যোগ্যতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেই। তাকে যে ট্রেনিং ও ডাটা দেওয়া হয়, সেই অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে। তাই এই নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ তিনি দেখছেন না।
বেন গোয়ের্টজেলের মত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যেতে পারে। তিনি আরো বলেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। এই জন্য অনেক সংস্থা মনে করছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিষিদ্ধ করা উচিত। তার বক্তব্য যে, ইন্টারনেটে আরও অনেক ফেক খবর ছড়িয়ে থাকে, তাহলে ইন্টারনেট ব্যান করে দেওয়া উচিত? ইন্টারনেট যখন ব্যান করা হয়নি ,তখন সেই অর্থে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ব্যান করা করা উচিত নয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে আলোচনা। কোম্পানিগুলো লাভের অঙ্ক বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করছে। এখন দেখার বিষয় মানব কল্যাণে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!