Kitchen Tips: বহুমূল্য রান্নার গ্যাসকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।
যত দিন যাচ্ছে ততই যেনো বেড়ে চলেছে রান্নার গ্যাসের দাম! বর্তমানে রান্নার গ্যাসের দাম দাঁড়িয়েছে ১১২৯ টাকা! মধ্যবিত্তের কাছে আগুন ছোঁয়ার মতোই দাঁড়িয়েছে গ্যাসের দাম তবু রান্নার গ্যাস না কিনে উপায় নেই। রান্না করে খেতে তো হবে! তাহলে এখন আপনি কী কাজ করলে রান্নার গ্যাস যতটা সম্ভব সাশ্রয় করা যাবে, তা দেখতে হবে। নিচে রইলো আমাদের তরফ থেকে তেমনই, গ্যাস বাঁচানোর কিছু টিপস! (Kitchen Tips for Save LPG)
Table of Contents
১) গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা সেই দিকে নজর রাখা:
প্রতিদিন রান্নার আগে ও পরে, ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে নেবেন যে গ্যাসের পাইপ, গ্যাসের রেগুলেটর বা গ্যাসের বার্নারে কোথাও গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা! গ্যাস লিক হলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে গ্যাস অপচয় শুধু হচ্ছে তাই নয় বরং রান্না করতে গিয়ে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড়ো কোনো বিপদ। তাই ব্যবস্থা নিন।
২) বার্নার পরিস্কার রাখুন:
রান্না হয়ে যাবার পরে নিয়মিত রান্নার গ্যাসের বার্নার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বার্নার অপরিষ্কার হলে কিকরে বুঝবেন? বার্নার নোংরা হলেও কিন্তু গ্যাস বেশি পরিমাণে নির্গত হবে।
গ্যাসের আগুন স্বাভাবিকভাবে নীল রঙের হয়। এই আগুনের রং যদি লাল, কমলা বা অন্য রঙের হয় তাহলে বুঝবেন আপনার গ্যাসের বার্নার নোংরা হয়েছে। তাহলে এবার বার্নার পরিস্কার করবেন কিকরে?
হালকা গরম জলে সুতির কাপড় ভিজিয়ে বার্নার মুছে ফেলতে হবে তাহলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। এতেও যদি পরিস্কার নাহয় তাহলে গ্যাসের কাজ জানা দক্ষ কর্মীকে তলব করতে হবে।
৩) পাত্র ঢেকে রান্না করুন:
পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করুন সবসময় যে পাত্রে রান্না করবেন সেটি ঢাকা দিয়ে রান্না করতে। ঢাকা দিয়ে রান্না করলে গ্যাস কম পুড়বে।
৪) প্রেসার কুকারের ব্যবহার:
কড়াই বা অন্যান্য বাসনের পরিবর্তে প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন। চটজলদি রান্না হবে যার ফলে গ্যাসও কম পরিমাণে নির্গত হবে। গ্যাসের অপচয় রুখতে হলে প্রেসার কুকারে রান্না করা সবথেকে বেশি ভালো অপশন।
৫) বাসনের তলা পরিস্কার রাখা:
রান্নার বাসনের তলা সবসময় পরিস্কার রাখুন। হাঁড়ি এবং কড়াইয়ের তলায় কালি থাকলে তাপের অপচয় হয়, গ্যাসও বেশি খরচ হয়। পরিস্কার রাখা তাই খুব দরকার।
৬) শুকনো বাসনের ব্যবহার:
বাসন ধোয়ার পরে ভালো করে মুছে নিয়ে শুকনো করে ব্যবহার করুন। এতে গ্যাস কম খরচ হবে। কারণ বাসনে জল থাকলে সেই জল শুকোতেও কিন্তু গ্যাসের অপচয় ঘটে।
৭) ইলেক্ট্রনিক কেটলির ব্যবহার:
রান্না করার সময় যে জল আমরা ব্যবহার করি তা প্রধানত গরম হলে তবে রান্নাপযুক্ত হয়। কিন্তু এই জল বারবার গরম করতেও গ্যাসের অপচয় ঘটে। এই ক্ষেত্রে আপনি ইলেক্ট্রনিক কেটলি কিনে সেই কেটলিতে জল গরম করে নিতে পারেন। তাহলে গ্যাসের অপচয় কমবে। তবে এই কেটলি ব্যবহারও যথেচ্ছ পরিমাণে করবেন না। তখন দেখা যাবে যে গ্যাসের অপচয় কমাতে গিয়ে আপনি বিদ্যুৎ অপচয় করছেন!
৮) মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার:
খাবার গরম করতে গিয়ে বারবার গ্যাস জ্বেলে গ্যাসের অপচয় করে ফেলছেন? বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন থাকলে ওতেই খাবার গরম করে ফেলুন। গ্যাসের অপচয় কমবে। তবে এক্ষেত্রেও মনে রাখবেন যে গ্যাসের অপচয় কমাতে গিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করবেন না! বুঝে শুনে ব্যবহার করুন।
– Written by Riya Ghosh