Interview Tips: চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে অবশ্যই জেনে রাখুন এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর।
সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে অনেক চাকরিতে লিখিত পরীক্ষার পরে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ(Interview) নেওয়া হয় এবং ইন্টারভিউ নেবার পর মনোনীত হলে তারপরেই সে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন।
বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও ইন্টারভিউতে আটকে যান অনেকেই। ইন্টারভিউয়ের সময় ঠিকমতো উত্তর দিতে না পারা, মনের মধ্যে থাকা ভয় এর আধিক্য এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে অনেকেই ইন্টারভিউয়ের সময় বাদ পড়েন।
ইন্টারভিউ এর সময় প্রার্থীদেরকে যে সমস্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, সেই সমস্ত প্রশ্নগুলির মধ্যে কিছু প্রশ্ন হয় খুবই কমন অর্থাৎ এই প্রশ্নগুলি বেশিরভাগ ইন্টারভিউ এর সময়েই প্রার্থীদের জিজ্ঞেস করা হয়। আপনারা যদি আত্মবিশ্বাসের সহিত এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হওয়া সহজতর হয়ে যায়। আরও সহজতর হয়ে যায় বিষয়টি, যদি আপনারা এই প্রশ্নগুলো(Job Interview Questions) এবং প্রশ্নের উত্তরগুলি সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন।
আজকের এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি প্রশ্নের ব্যাপারে জানানো হবে যে পাঁচটি প্রশ্ন(Interview Questions) বেশিরভাগ ইন্টারভিউ বোর্ডেই(Interview Questions Tips) প্রার্থীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় এবং অনেক প্রার্থী আত্মবিশ্বাসের অভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিকভাবে দিতে পারেন না।
Table of Contents
১. তিনটি শব্দে নিজের সম্পর্কে বলুন!
অনেক ইন্টারভিউ এর সময়ই প্রার্থীদেরকে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। বিভিন্নভাবে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রশ্ন হল তিনটি শব্দের মাধ্যমে নিজেকে ব্যাখ্যা করা।
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, আপনাকে শুধুমাত্র তিনটি শব্দ বলতে বলা হয়েছে। নিজের সম্পর্কে কখনোই বাড়িয়ে সম্পূর্ণ বাক্য বলতে যাবেন না।
নিজের পজিটিভ দিকগুলি সম্পর্কে হালকা একটু ভেবে নিয়ে আপনার পজিটিভ সাইড গুলোকে হাইলাইট করতে হবে, এমন শব্দগুলো বাছুন।
এক্ষেত্রে আপনি উত্তর দিতে পারেন- সেলফ মোটিভেটেড, মাল্টি ট্যালেন্ট, হার্ড ওয়ার্কিং, ট্রাস্টফুল ইত্যাদি।
২. প্রেসার এবং স্ট্রেস সামলার জন্য কী করবেন?
ইন্টারভিউ বোর্ডে(Interview Board) প্রার্থী কতটা পরিণতমনস্ক সেটি যাচাই করার জন্য এই প্রশ্নটি করা হয়। আপনি সাধারণত যেভাবে নিজের প্রেসার এবং স্ট্রেস সামলান সেটিই আপনি উত্তর দিতে পারেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, পজেটিভ উত্তর দিতে হবে। এমন কোন উত্তর দেবেন না যাতে করে ইন্টারভিউয়ারদের মনে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি হয়।
৩. এই পেশায় কেন নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান?
কোন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে এই প্রশ্নটি সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে যাবেন। এই কোম্পানিটি কোন কোন সেক্টরে কাজ করে এবং আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে কিভাবে নিজের এবং কোম্পানির উন্নতি করতে পারবেন সেই বিষয়ে আপনাকে বলতে হবে। এছাড়া এই কোম্পানির কাজটি কিভাবে আপনার স্বপ্নের চাকরি(Dream Job) হলো, সেটিও আপনি ব্যাখ্যা করতে পারেন।
৪. আমরা কেন আপনাকে চাকরিটা দেবো?
এই প্রশ্নটি সাধারণত প্রায় সকল ইন্টারভিউ এর সময়ই প্রার্থীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়। এজন্য এই প্রশ্নটির উত্তর আপনাকে যথাসম্ভব মাথা ঠান্ডা করে এবং গুছিয়ে দিতে হবে।
আপনার মধ্যে যে ভালো গুণগুলি আছে সেগুলি কিভাবে কোম্পানির উন্নতি করতে সাহায্য করবে সেই বিষয়ে হাইলাইট(Highlight) করতে হবে। পাশাপাশি এটাও জানাতে হবে যে কোম্পানির লক্ষ্য এবং আপনার লক্ষ্য একই এবং উভয়ের উন্নতির জন্যই আপনি আগামী দিনে মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন।
৫. আগামী 5 বছরে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান?
এই প্রশ্নটির উত্তর ও আপনারা আগে বাড়িতে ভালোভাবে তৈরি করে তারপরে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন। কোম্পানিতে আপনি যে পোস্টের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেই পোস্টে আপনার ক্যারিয়ারে কিভাবে গ্রোথ হবে, কিভাবে প্রমোশন হবে , আপনার ভবিষ্যতে কি কি সুযোগ রয়েছে ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে প্রথমে।
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন, কারন বর্তমানে ইন্টারনেটে(Internet) প্রায় সব তথ্যই দেওয়া থাকে। আগে থেকে জানা থাকলে আপনার উত্তর দিতে অনেকটা সুবিধা হবে।
এই প্রশ্নটি আপনাকে করা হলে আপনি যতটা সম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ উত্তর দেবেন এবং এমন ভাবে উত্তর দেবেন যাতে ইন্টারভিউয়ারের আপনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এবং তার যেনো মনে হয় যে, আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক এবং নিষ্ঠা সহকারে কাজ করে আপনি আগামী দিনে উন্নতি করবেন।