স্কুল খুলতেই তীব্র গরমে অসুস্থ পড়ুয়ারা, ছুটি বাড়ানো নিয়ে শিক্ষকদের কি মতামত? জানুন
প্রায় দেড় মাস পর রাজ্যে শেষ হলো গরমের ছুটি। প্রবল দাবদাহর কারণে গত ২ মে তারিখ থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। স্কুল খোলার পরের দিনই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল বেশ কম। তবে অনেক ছাত্রছাত্রীরাই স্কুলে আসার পর তীব্র গরমে অসুস্থ হবার কথা শোনা গিয়েছে।
খিদিরপুর অ্যাকাডেমির অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া রাজা দাস তিনতলার ঘরে ক্লাস করছিল। জানালা দিয়ে রোদ আসার পর মাথা ঘুরতে শুরু করে তার। তখন তাকে নিচের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালেহিন বলেন, ‘‘ওকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা একটি ঘরে পাখার তলায় বসিয়ে রাখি। বার বার জল দিই। সুস্থ বোধ করলে বাড়ি পাঠানো হয়।’’ গত বৃহস্পতিবার ওই স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই পড়ুয়া সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল।
শিক্ষকেরা কোনও মতেই চান না, গরমের কারণে স্কুল আবার বন্ধ হোক। গরম মোকাবিলার নানা ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। সকলে অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির।
বরাহনগর মায়াপীঠ নারী শিক্ষা আশ্রমের এক ছাত্রী ও এক শিক্ষক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শিক্ষকদের হিট স্ট্রোক হয়েছিল। ছাত্রীটি স্কুলে এসে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
গরম মিকাবেলার জন্য প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে অতিরিক্ত পাখা লাগানো হয়েছে। রাখা হয়েছে বেশি বেশি পানীয় জল। আবার ক্রমাগত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবার কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী ও টিচাররা।
কিছু স্কুলে স্টুডেন্টরা অসুস্থ হলেই গ্লুকোজ জল দেওয়া হচ্ছে তাদের। আবার তাড়াতাড়ি ছুটিও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতির চাপে পড়ে। অনেক স্কুলে আবার পোশাক বিধি না মেনে গরমের মত মানানসই পোশাক পরে আসতেও বলা হয়েছে।
অনেক স্কুলে উঁচু তলার ঘরগুলোতে বেশি গরম হবার কারণে ছাত্রছাত্রীদের নিচের ঘরে এনে ক্লাস করানো হচ্ছে। কোনোমতেই ছুটি চাইছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা। ছুটি দিলে স্টুডেন্টরা অনেক পিছিয়ে পড়বেন বলেই মনে করছেন সকলে।