ব্যবসা-বাণিজ্য

Business Ideas: ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সেরা ৫টি ব্যবসা, দাড়িয়ে গেলে মালামাল।

চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসায় সংসারের হাল ধরতে বর্তমানে অনেকেই আছেন, যারা অল্প পুজিকে সম্বল করে ব্যবসার দিকে এগোচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের হয় পুঁজির অভাব, নয়তো ব্যবসা করার মতো ভালো আইডিয়ার অভাব।

তবে আপনারা চাইলে অল্প মূলধন নিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানানো হবে এমন কয়েকটি ব্যবসা (Business Ideas) সম্পর্কে, যেগুলি আপনারা এক লক্ষ টাকার মধ্যে পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারেন( Startup Business Under 1 Lakh) এবং ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে আপনারা প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। আপনাদের কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

১) কাগজের কাপ/থালার ব্যবসা:

যে কোনো রকম উৎসব অনুষ্ঠানে কাগজের থালা, কাপ, প্লেটের প্রয়োজন পড়ে। পরিবেশ দূষণ রোধ করার কারণে সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দিয়ে থার্মোকল এবং Thermocol জাতীয় থালা, গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলস্বরূপ বর্তমানে যে কোনো রকম উৎসব অনুষ্ঠানে কাগজের কাপ এবং থালা ব্যবহার করা হয় বহুল পরিমাণে। এইজন্য বাজারে এগুলোর চাহিদা ও বেশ বেশি।

কাগজের কাপ, থালা তৈরি করতে গেলে দরকার হয় মেশিনের। এরকম অটোমেটিক মেশিন আপনারা বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বা অনলাইনে কোন বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবেন। তার সাথে আপনাদের প্রয়োজন হবে কিছু কাঁচামাল , যেগুলি দিয়ে কাগজের থালা বা প্লেট তৈরি হয় ।একবার মেশিনের মধ্যে এই কাঁচামাল গুলি দিয়ে দিলে মেশিন নিজে থেকেই আপনার সেট করার সাইজ অনুযায়ী থালা গ্লাস বা প্লেট তৈরি করতে থাকবে।

কাগজের পাত্র তৈরি করতে গেলে আপনাদের খুব বেশি একটা জায়গার দরকার নেই। বাড়িতে অল্প জায়গার মধ্যেও এই ব্যবসাটি আপনারা শুরু করে দিতে পারবেন. যেহেতু কাগজের থালা গ্লাস প্লেটের বাজারে চাহিদা অনেক বেশি ,সেজন্য আপনাদের লোকসান বলতে তেমন কিছুই হবে না.তবে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং লাভ রেখে আপনার জিনিসগুলি বিক্রি করতে পারলেই কেল্লাফতে।

২) ছোট ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট:

অল্প জায়গার মধ্যে স্বল্প পুঁজি নিয়ে গড়ে তোলার মতো একটি অন্যতম ব্যবসা হল ছোট ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট। বিকেলে বা সন্ধ্যায় অনেকেই ঘুরতে বের হন । তাদের অন্যতম একটি গন্তব্য থাকে কোন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট। যেখানে নিরিবিলি সময় কাটানো যায় এবং ভালো কিছু খাবারও খাওয়া যায়।

তবে রেস্টুরেন্ট খুলতে গেলে আপনাকে অবশ্যই লাইসেন্স করতে হবে এবং খাবারের গুণগত মান ভালো হতে হবে। ফাস্টফুড খাবারগুলো যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায় সেহেতু কাস্টমারদের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও খাবারের যোগান দিতে খুব একটা সমস্যা হবে না। দোকানের বিক্রি বেশি হলে একজন কর্মচারী রেখে দিতে পারেন, তাতে বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

৩) দশকর্মা ভান্ডারের দোকান:

প্রতিটা বাড়িতেই দুপুরে ঠাকুরের নিত্য সেবা করা হয় এবং সন্ধ্যেবেলায় সন্ধ্যা আরতি করা হয়। তাছাড়া বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিছুদিন পর পর একটা না একটা পুজো এবং অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।

পুজো মানেই দরকার পড়বে বিভিন্ন রকম পুজোর উপকরণ যেমন ধুনো, ধূপকাঠি ,প্রদীপ, মোমবাতিগঙ্গাজল, ধূপ ধুনো, তির-কাঠি, পঞ্চরত্ন, পঞ্চশস্য, পঞ্চাঙ্গুরিয় ইত্যাদি। আর এই জিনিসগুলো একসাথে বিক্রি করা হয় যেখানে, তাকেই বলা হয় দশকর্মা ভান্ডার।

সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন যে একটা দশকর্মা ভান্ডার কখনোই ক্রেতাশূন্য হয় না। আপনারা যদি আপনাদের স্বল্প পুঁজি কাজে লাগিয়ে একটি দশকর্মা ভান্ডার খুলতে পারেন তাহলে প্রতিদিনই অনেক গ্রাহক আপনারা পেয়ে যাবেন এবং মাস গেলে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

৪) ফলের দোকান:

বাড়িতে বেকার বসে না থেকে ফলের দোকান খুলে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনারা।ফল বিক্রেতারার সাধারণত বড় কোন পাইকারি মার্কেট থেকে ফল কিনে আনেন এবং সেগুলি খুচরো দরে বিক্রি করেন। মূলত স্টেশনের পাশে, বাজারে বা ফেরি গাড়িতে করে ফল বিক্রি হয় বেশি।

ঋতু অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফল পাওয়া যায় বাজারে। বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেই ফলের গাছ নেই , সেই জন্য ফল খাওয়ার ইচ্ছা হলে বাইরে থেকে কেনাই একমাত্র ভরসা। এইজন্য ফলের ব্যবসাতেও বেশ চাহিদা রয়েছে।

এক লাখ টাকারও কম পুঁজি দিয়ে আপনারা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন এবং মাস গেলে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হবে আপনাদের।

৫) সাইবার ক্যাফের দোকান:

বাড়িতে বেকার বসে না থেকে সাইবার ক্যাফের দোকান খুলে বহু ছেলে মেয়েরা মাস খেলে প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন।

সাইবার ক্যাফের দোকান খুলতে গেলে আপনার প্রথমেই দরকার কিছুটা জায়গা,ভালো ইন্টারনেট কানেকশন, প্রিন্টার ,ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, জেরক্স মেশিন ইত্যাদি। তার সাথে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে এবং বিভিন্ন রকম চাকরির পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা, বিভিন্ন রকম বিল দেওয়া ইত্যাদি কাজে অভিজ্ঞ হতে হবে।

প্রতিটি চাকরির আবেদন পিছু আপনারা ৩০ থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত উপার্জন করতে পারবেন এবং বিল প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ জন গ্রাহক পেলে ন্যূনতম ১০০০ টাকা উপার্জন হবেই। মাস খেলে উপার্জনের অংকটা ৪০ হাজার বা ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker