কেন বাতিল করা হলো ২০০০ টাকার নোট? আসল কারণ জানলে চমকে উঠবেন!
2016 সালে ভারতের বাজারে আসে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupees Note)। প্রায় সাত বছর ধরে বাজারে চলছিল এই নোটটি। তবে আচমকাই তুলে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আর কয়েক মাস পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ ব্যান(2000 Note Ban) করা হবে। ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা কি নিছক খামখেয়ালিপনা? নাকি এর পেছনে কোন বড় উদ্দেশ্য আছে? এই প্রশ্ন রয়েছে প্রায় সকল ভারতবাসীর মনে।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব ২০০০ টাকার নোট কেন ব্যান করা হলো (Why banned 2000 rupees note?)
২০০০ টাকার নোটের প্রসঙ্গ তোলার আগে ফিরে যাওয়া যাক এক হাজার টাকা এবং 500 টাকার নোটের কথায়। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) নোট বন্দির(Note ban 2016) কথা ঘোষণা করেন। বলা হয় যে তৎকালীন 500 টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট সেই রাত থেকেই ব্যান করা হচ্ছে। কার্যত ঘুম উড়ে যায় ভারতবাসীর। ব্যাংকের সামনে লম্বা লাইন দিয়ে জনগণ তাদের জমানো 500 টাকা এবং এক হাজার টাকা ব্যাংকে জমা করা শুরু করেন। এদিকে বড় কারেন্সি বলতে তখন ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট ই ছিল মানুষের সম্বল। নোটবন্দির পর চাপ পড়ে অর্থনীতির ওপর। সেই সময় চাহিদা পূরণ করার জন্য বাজারে আনা হয় ২০০০ টাকার নতুন নোট।
রিজার্ভ ব্যাংকে তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয় যে, দুই হাজার টাকার নোট বাতিল করার পেছনে যে উদ্দেশ্য ছিল, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে ২০০০ টাকার নোটের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার থেকে নেমে হয়েছে ৩ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সাল থেকেই নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়। রিজার্ভ ব্যাংকের ধারণা ভারতের বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র কেনার সময় লেনদেনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোটের চাহিদা খুবই কম। তাছাড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি ক্লিন নোট পলিসি(RBI Clean Note Policy) মেনে চলে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সিরিজের নোট বাতিল করার পাশাপাশি একটি নতুন সিরিজের নোট চালু করা হয়।
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন যে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট বদল করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ বাতিল নয়। এজন্য দোকানদাররা ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করতে পারবেনা। গ্রাহকদের অনেকটাই সময় দেওয়া হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের ২০০০ টাকার নোট বদল করতে পারবেন। গ্রাহকদের তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই।