ব্যবসা-বাণিজ্য

Business Idea: ধৈর্য্য ধরতে পারলে করুন এই ব্যবসা, লাভ হবে প্রচুর টাকা। জানুন বিস্তারিত।

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন ব্যবসার (Business) প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এখনো মুনাফা (Profit) কেমন হবে তার নিশ্চয়তা পান না বলে ব্যবসা করতে ভয় পান। তবে আজ এমন এক ব্যবসার আইডিয়া (Business Idea) নিয়ে এসেছি যা আপনাকে অবশ্যই এনে দেবে প্রচুর মুনাফা। তার সাথে যদি আপনি হয়ে থাকেন ভারতীয় নাগরিক (Indian Citizen) তাহলে তো বিশাল লাভ হবে আপনার। কী সেই ব্যবসার আইডিয়া? আসুন জেনে নিই।

ভারতবাসী (Indian Citizen) হয়ে থাকলে আপনি অবশ্যই ভারতে চন্দন কাঠের (Sandal Wood) চাহিদা সম্পর্কে জানেন। এমনকি ভারতের চন্দন কাঠ (Sandal Wood) সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। দিনদিন বেড়েই চলেছে এর দাম। নেপথ্যে কারণ এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা। চন্দন কাঠের যোগান দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ (Challenge) হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষীদের কাছে। এই চাহিদা মেটানোর শরিক হতে পারেন আপনিও। শুরু করতে পারেন চন্দন কাঠের ব্যবসা(Business Idea of Sandal Wood)।

সরকারও বর্তমানে চন্দন কাঠের ব্যবসা সম্পর্কে সকলকে উৎসাহিত করছে। চন্দন কাঠের বহুল ব্যবহার আছে যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। চন্দন কাঠ আয়ুর্বেদিক ওষুধেও (Ayurvedic Medicine) ব্যবহার করা হয় তা জানতেন আপনি? আগে এই চন্দন কাঠ শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতে (South India) পাওয়া যেতো আর বর্তমানে এর চাহিদার কারণে বেড়ে চলেছে এর চাষও।

চন্দন কাঠ চাষ করে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি। শুধু প্রয়োজন একটু ধৈর্য্যের(Patience)। সামান্য বিনিয়োগের (Investment) মাধ্যমেই শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। এই ব্যবসার মূলধন হলো সময়। অর্থাৎ একটি গাছ বড় হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অনেক অপেক্ষা করতে হবে। আগে গাছ বড়ো হলে তবেই তো করতে পারবেন ব্যবসা। তবে হ্যাঁ, দীর্ঘমেয়াদি এই ব্যবসা কিন্তু আপনাকে এনে দেবে কোটি কোটি টাকা।

চন্দন গাছ লাগানোর জন্য কত সময় লাগে এবং কিভাবে এর পরিচর্যা করতে হয়?

একটি প্রাকৃতিক উপায়ে চন্দন গাছ বড়ো করতে লেগে যেতে পারে ১০-১৫ বছর। আবার সবার মতোই নিয়মে যদি কাটেন সেই ক্ষেত্রে গাছটি বড়ো হতে লেগে যাবে ২০-২৫ বছর। চন্দন গাছ দুই রকমের। লাল এবং সাদা।লাল চন্দন প্রধানত দক্ষিণ ভারতে (South India) এবং সাদা চন্দন প্রধানত উত্তর ভারতে (North India) জন্মায়।

একটি চন্দন গাছের ২ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে আরেকটি চন্দন গাছ লাগানো যায় নয়তো একটি গাছ অন্য গাছটির সমস্ত খাদ্য গ্রহণ করে বৃদ্ধি পেতে দেয়না। কোনো দূষণমুক্ত অঞ্চলে (Pollution Free Area) এই গাছের চাষ শুরু করতে হবে আপনাকে।

আর একটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। এটি না করলে আপনি যতই যত্ন নিন না কেন, আপনার চন্দন গাছ বাঁচবেনা। বিষয়টি হলো চন্দন গাছ যেখানে লাগাচ্ছেন তার পাশাপাশি প্রচুর হোস্ট প্ল্যান্ট লাগানো। হোস্ট প্ল্যান্ট হিসেবে আপনি তুলসী গাছও লাগাতে পারেন। চন্দন গাছ লাগানোর কিছুদিন আগে লাগান এই হোস্ট প্ল্যান্ট। তারপর চন্দন গাছ লাগান ও বড়ো করুন।

চন্দন কাঠের ব্যবসায় লাভ কেমন?

আপনি যত বড়ো অঞ্চলে এই গাছ লাগাবেন তত বেশি লাভ পাবেন। দাঁড়ান বিস্তারিত বলি:

  • i) আপনি যদি ২-২.৫ বছরের একটি চন্দন গাছ কেনেন তবে তা ১৫০-২০০ টাকায় পাওয়া যাবে। সেইক্ষেত্রে আপনি ১ হেক্টরে ৬০০টি গাছ লাগাতে পারেন। গাছটি ১০-১৫ বছরের মধ্যে কাঠের জন্য উপযুক্ত হবে।
  • ii) চন্দন কাঠের প্রতিটি গাছ বিক্রি হয় দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি ২ লক্ষ টাকা ধরেন, তাহলে সেইক্ষেত্রে আপনি ৬০০টি গাছ থেকে ১২ কোটি টাকা পেতে পারেন।

কিন্তু চন্দন গাছ বিক্রি করা তো অবৈধ জানতাম। তাহলে?

এক সময় চন্দন গাছের চাষ করা সত্যিই অবৈধ ছিলো কিন্তু বর্তমানে সরকার এটির ছাড়পত্র (License) দিয়েছে। অনুমতির সঙ্গে ২৮-৩০ হাজার টাকা অনুদানও দিচ্ছে সরকার। তবে হ্যাঁ, চন্দন গাছের চাষ করে সেই কাঠ দিতে হচ্ছে সরকারের (Government) কাছে।

এই কারণে অনেক কৃষক এই চন্দন কাঠ চাষ করা থেকে বিরত থাকেন। মনে রাখবেন যে আপনি নিজে কখনোই চন্দন গাছ কাটতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। এ জন্য বন বিভাগকে (Forest Department) তথ্য দিতে হবে। দফতরের কর্মকর্তারা এসে আপনার কাছ থেকে চন্দন গাছ কিনে কেটে নিয়ে যাবে।

-Written by Riya Ghosh

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker