World Most Expensive Mango: বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার দাম ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা কেজি! অবাক হবেন না এটাই সত্যি। জানুন বিশদে।
গরমকাল মানেই বাজারের মধ্যে রংবেরংয়ের আর বিভিন্ন স্বাদের আমের ছড়াছড়ি। হিমসাগর থেকে শুরু করে ল্যাংড়া ও ফজলির রমরমা। সকলেই জানেন যে ফজলি আম হলো সবথেকে বড়ো আম পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দামী আম কোনটি? জানেন না তো! আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। (World Most Expensive Mango)
ফলের রাজা যদি হয় আম, তাহলে এই আমটি আমের দুনিয়ায় রীতিমতো সম্পদ বলা চলে। যদিও এই আমটির এত দাম হওয়ার কারণেই হয়তো সকলের মনে এটি জায়গা করতে পারেনি ঠিকই তবে বর্তমানে এর পরিচিতি বাড়ছে। সবাই যখন হিমসাগর ল্যাংড়া অথবা বিদেশি আম আলফানসোর ভক্তিতে মশগুল, তখন আমার দুনিয়ায় সবথেকে দামি আম হবার কৃতিত্ব ছড়িয়ে নিয়েছে জাপানের এই আমটি।
জাপানি বংশোদ্ভুত ‘মিয়াজাকি’ (Miyazaki) আমটি বর্তমানে সব থেকে বেশি দামী আমের তালিকায় রয়েছে। এই আম যে শুধু খেতে খুব সুস্বাদু তাই নয় বরং এত দামি হওয়ার কারণে এটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে সারা বিশ্বে। এখন এটাই ভাবছেন তো যে এই আমের নাম হঠাৎ এত কিছু থাকতে মিয়াজাকি (Miyazaki) কেন?
জানা গিয়েছে, এই আমটির নাম মিয়াজাকি হওয়ার পেছনে কারণ এটি জাপানের মিয়াজাকি গ্রামের (Miyazaki Village of Japan) ফল। এই আম শুধু দামের জন্যই বিখ্যাত তাই নয়, এই আমের গায়ের রং ও অন্যান্য আমার থেকে একদম পৃথক। যেখানে আমরা সাধারণত দেখতে পাই আমের রং হলুদ, সবুজ অথবা লালচে ধরনের; সেখানে এই আম হয় গাঢ় লাল অথবা বেগুনি রঙের। আংটির রং এবং দামের সম্বন্ধিত জানা হল এবার শুনে নিন আমটির আকার হল অনেক বড়ো যা ‘ডাইনোসরের ডিমের’ মতো বলা যায়।
আমটির বৈজ্ঞানিক নাম (Scientific Name) Taiyo-no-tomago, যা Eggs of Sunshine নামেও পরিচিত। এই আমের একেকটির ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম, যা বাজারে ২১,০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয় অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা! অবাক হয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে তো? এখনো অবাক হবার কিছু বাকি আছে কিন্তু!
ইউরোপের বিভিন্ন বড় বড় দেশগুলিতে এই আমের চাহিদা অনেক তবে ভারতে এই আমের চাহিদা তুলনায় অনেক কম যার কারণ এর দাম। মিয়াজাকি আমের (Miyazaki Mango) কিন্তু রপ্তানি কিন্তু সহজে সম্ভব না। এই আম রপ্তানির আগে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মিয়াজাকি আম চাষের জন্য দরকার প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং তার সাথে পর্যাপ্ত রোদ ও উর্বর জমি। এপ্রিল-আগস্ট মাস হলো এই আম ফলনের উপযুক্ত সময়। এই আমের গুণাগুণও প্রচুর। এই আমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো বিশেষ উপাদান রয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ সুগার থাকায় ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগীরা সহজেই এই আম সেবন করতে পারেন।
প্রথম আট নয় দশকের সময় শুধুমাত্র জাপানে এই আমের চাষ হলেও বর্তমানে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভারতের চাষিরা এই আম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
-Written by Riya Ghosh