প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ।
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় আরো একবার নজিরবিহীন রায় দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে। ২০১৪ সালের প্রাথমিকের ৩৬০০০ প্রার্থীর চাকরি বাতিল করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice c)। এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে, এমনটাও নির্দেশ দেন তিনি।
মূলত প্রশিক্ষনহীন শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর এই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী তিন মাসের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে এমনটাও জানান তিনি। তার পাশাপাশি তিনি বলেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি(Teacher Recruitment Videography) করে রাখতে হবে। এখনো পর্যন্ত যারা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, তাদের চাকরি থাকবে। তাই ঠিক এই মুহূর্তে এখনো কারো চাকরি যাচ্ছেনা। আগামী ৪-৫ মাস তারা শিক্ষকতা করতে পারবেন ঠিকই তবে তারা পার্শ্ব শিক্ষক স্তরের বেতন পাবেন।
২০১৪ সালের টেটের (Tet 2014) রেজাল্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ হয় প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। তখন অভিযোগ ওঠে যে, সংরক্ষণ নীতি না মেনে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এ ছাড়া আরও অভিযোগ ওঠে যে, সেই সময় যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test 2016) দেওয়া হয়েছিল তাতে ইচ্ছামত নাম্বার দেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ (Primary Teacher Interview) নিয়ম মেনে হয়নি। সে সময় যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদেরকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তিনি বলেন যে এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাদের চাকরি থাকবে। আদালতের (Kolkata High Court) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী 2016 সালের টেটে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে রয়েছেন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) । সরকার মনে করলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে টাকা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।