মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ঘটলো বিরাট পরিবর্তন! পাল্টে গেল দ্বিতীয়, পঞ্চম, নবম, দশম স্থানাধিকারীর নাম! বিস্তারিত জানুন।
গত ১৯ মে প্রকাশিত হয়েছিলো চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের মাধ্যমিকের রেজাল্ট(Madhyamik Result)। স্বাভাবিক নিয়মেই ফলপ্রকাশের (Publication of Result) পরেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায় যে কোনো পড়ুয়ার যদি নিজের ফলাফল নিয়ে অভিযোগ থাকে বা তিনি নিজের রেজাল্টে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তাঁরা অনলাইনে রিভিউ ও স্ক্রুটিনির (Online Scrutiny and Review) জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। সেই কথামতো অনলাইন আবেদনে চলছিলো স্ক্রুটিনির (Scrutiny) জন্য।
সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে যে এখনো অবধি হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে স্ক্রুটিনির (Scrutiny) আর্জি জানিয়ে। জুন মাসের মধ্যেই সেই সব পড়ুয়ার খাতা পুনর্মূল্যায়নের (Recheck) পরে ফলাফল প্রকাশ করার কথা জানানো হয়েছিল পর্ষদের তরফে আর সেই কথামতো গত ৩০ জুন স্ক্রুটিনির ফলাফল (Result after Scrutiny) প্রকাশ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।
এই ফলাফল প্রকাশের পরেই ঘটেছে বিরাট পরিবর্তন যা মাধ্যমিকের পুরো মেধাতালিকাকেই (Merit List) পরিবর্তন করে ফেলেছে। এত বড় বদল এর আগে কখনো হয়নি বলেই জানা গেছে যাতে সবাই স্তম্ভিত। ঠিক কি বদল ঘটেছে নতুন ফলাফল প্রকাশের পরে মেধাতালিকায়(Merit List) ? কী এমন পরিবর্তন ঘটলো যে সবাই অবাক? আসুন জানা যাক।
পর্ষদের প্রকাশিত এই নতুন ফলাফলে রীতিমত পাল্টে গেল মেধাতালিকাতে (Merit List) থাকা ছয় জনের স্থান। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন! এই পরিবর্তনের কথা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (Ramanuj Gangopadhyay) গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে কোনো পড়ুয়া তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে এলেন তো কেউ ষষ্ঠ থেকে পঞ্চমে। আবার চার জন পরীক্ষার্থী যাঁরা প্রথম দশে ছিলেন না, তাঁরা মেধাতালিকায় জায়গা করে নিলেন। অদ্ভুত বদল তাইনা?
মাধ্যমিকের আগের মেধাতালিকা অনুযায়ী (According to Merit List) তৃতীয় স্থানে ছিলেন মাহির হাসান। স্ক্রুটিনির ফলপ্রকাশের (Result after Scrutiny) পর তিনি চলে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা প্রানীল যশ স্ক্রুটিনির ফলাফলের পর চলে এলেন পঞ্চম স্থানে। দ্বাদশ স্থানে থাকা অঙ্কন নন্দী ও অনুদীপা দাস দশম স্থানে এলেন। একাদশ স্থানে থাকা দীপময় বসাক স্ক্রুটিনির পর চলে এলেন একাদশ স্থানে। এছাড়া চোদ্দতম স্থানে থাকা প্রীতম দাস ছিলেন প্রথম দশের বাইরে। কিন্তু এমন আমূল পরিবর্তন কেনো? কি জানালো পর্ষদ?
পর্ষদ জানাচ্ছে যে PPR করায় ৭৫৭৪টি খাতার মধ্যে নম্বর বেড়েছে ৬১২টি খাতার। আর PPS-এ থাকা ৯৩ হাজার ৪৮৯টি খাতার মধ্যে নম্বর বেড়েছে মোট ৮০৩১ জনের। তবে এই ফলাফলের বদলে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে খাতার মূল্যায়ন নিয়ে। সকলের একটাই কথা যে খাতা যদি ঠিকভাবে চেক (Check) করা হতো তাহলে এতটা পরিবর্তন দেখা দিতোনা। খাতা ঠিকভাবে না দেখার জন্য উঠেছে রীতিমতো অভিযোগ।
-Written by Riya Ghosh