অন্যান্য

Ratan Tata: দয়ার আরেক নাম রতন টাটা! যিনি নিজের অসুস্থ পোষ্যকে রেখে রাজা চার্লসের দেওয়া সম্মান ও ত্যাগ করেন। জানুন সেই কাহিনী।

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় নাম (Famous Name) হলো রতন টাটা (Ratan Tata)। এই মানুষটির নাম শোনেনি এমন কেউ আছেন কিনা সেটাই ভাবনার বিষয়। একজন শিল্পপতি অর্থাৎ উচ্চবিত্ত (High-class) মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তিনি হলেন নিতান্তই মাটির মানুষ। যাঁরা এই মানুষটিকে সামনে থেকে দেখেছেন যে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন তাঁরা সকলেই ওনার উদারতার কথা স্বীকার করেন। আজ এই মানুষটির উদারতা, দয়া এবং পশুপ্রেম নিয়ে একটি কাহিনী জানবো আমরা যা শুধু কাহিনী নয়, একটি সত্যি ঘটনা। আসুন জানা যাক। (The unknown story of Ratan Tata’s life)

ভারতীয় নাগরিক হলেও উদারতার জন্য রতনজি (Ratanji) বিশ্বখ্যাত। ভারতীয় প্রতিটি মানুষের কাছে তিনি আইকন(Icon)। তিনি শুধু নিজের টাটা গ্রুপের (Tata Group) ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করেছেন তাই নয় বরং তাঁর বিভিন্ন জনহিতকর কাজের কারণে সকল মানুষের প্রিয়। তবে এসব দয়া বা উদারতা শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য নয় তো? আদপে রতন টাটা (Ratan Tata) কেমন মানুষ? উত্তর আছে এই প্রতিবেদনেই(Article)! ভালো করে পড়ুন।

একজন ব্যবসায়ী যার নাম সুহেল শেঠ(Suhel Sheth), তিনি সকলের প্রিয় রতন টাটার (Ratan Tata) আসল চরিত্র সবার সামনে তুলে ধরেছেন। কিভাবে? সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে (Interview) তিনি রতন টাটার (Ratan Tata) জীবনী নিয়ে অজানা একটি ঘটনা সকলের সামনে নিয়ে এসেছেন। কি বলেছেন সুহেল শেঠ(Suhel Sheth)?

সুহেল শেঠ (Suhel Sheth) বলেন যে, বর্তমানে যিনি রাজা চার্লস (King Charles) তিনি যখন প্রিন্স চার্লস (Price Charles) ছিলেন তখন, ২০১৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসে (Buckingham Palace of England) রতন টাটাকে (Ratan Tata) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল “Lifetime Achievement” সম্মান দান করা। সমস্ত আয়োজন করা শেষ হয়ে গেছিলো।

সুহেল আরো বলেন যে, তিনি অর্থাৎ সুহেলজি (Suhel ji) লন্ডনে পৌঁছেছিলেন ফেব্রুয়ারির ২-৩ তারিখে। পৌঁছেই তিনি দেখেন যে তাঁর ফোনে রতনজির (Ratan Ji) একসাথে এগারোটা মিসড কল। স্বভাবতই ঘাবড়ে যান তিনি। তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরের কনভেয়ার বেল্ট (Conveyor Belt) থেকে তার ব্যাগগুলি তুলে নেওয়া সম্পূর্ণ করেন এবং রতন টাটাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন যে কী হয়েছে।

এর উত্তরে রতন টাটা সুহেল শেঠকে (Suhel Sheth) ফোনে জানান যে, তার দুটি পোষ্য কুকুর ট্যাঙ্গো এবং টিটোর (Tango and Tito) শরীর হঠাৎ করেই খুব খারাপ করে গেছে। তিনি তাই উপস্থিত হতে পারবেন না সম্মান নিতে। এদিকে প্রিন্স চার্লস তথা বর্তমান কিং চার্লস, বাকিংহাম প্যালেসে Lifetime Achievement Award এর আয়োজন সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন।

Lifetime Achievement Award টি আর নিতে আসেননি রতনজি। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড নেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেও আর সাড়া পায়নি বাকিংহাম প্যালেস(Buckingham Palace)। পোষ্যদের ভালোবেসে তাদের অসুস্থতায় তাদের ছেড়ে সেদিন রতনজী যেতে পারেননি পুরস্কার নিতে। এটাই “রতন টাটা”! যাঁর উদারতা, দয়া, ভালোবাসা দিগে দিগে ছড়িয়ে আছে।

এই ঘটনায় প্রিন্স চার্লসও (Prince Charles) হয়েছিলেন সেদিন মুগ্ধ। তিনি প্রসঙ্গে বলেছেন যে, “রতন টাটা (Ratan Tata) মানুষটি হলো এরকম। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র তার মানসিকতার জন্যই তিনি মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছেন। রতন টাটা সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) যে সমস্ত ছবি শেয়ার করেন সবকটির পেছনে কিছু না কিছু অন্তর্নিহিত মানে লুকিয়ে আছে।”

তিনি আরো বলেন যে, “এই বছরের ১০ই জানুয়ারি তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে(Instagram)। সেখানে তাকে দেখা যায় তার ভাই জিমি নাভাল টাটার সাথে একটি সাইকেল এবং একটি কুকুরের সাথে। এছাড়া ছবিটির ক্যাপশনই তিনি তুলে ধরেছেন যে, সেই সময়গুলোই ছিল সুখের। ১৯৪৫ সালে তার ভাই জিমির সাথে তোলা এই ছবিটি। ছবিতে একটি কুকুরকেও দেখা যাচ্ছে, যার থেকে প্রমাণ হয় যে তার ছোট থেকে কুকুরের প্রতি বিশেষ টান ছিল। পোষ্যদের প্রতি সেই ভালোবাসা ও টানে এক ফোঁটাও ভাটা পড়েনি।”

“রতন টাটা” (Ratan Tata) নামটাই যথেষ্ট! যাঁর উদারতা, দয়া ও ভালোবাসার কারণে জনহিতকর কাজের মাধ্যমে সকল মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

-Written by Riya Ghosh

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker