D.El.Ed করা থাকলেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এরা।
বহু প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি খারাপ খবর আসতে পারে। আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি বিষয় উল্লেখ থাকার কারণে বহু পরীক্ষার্থীরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাতিল হয়ে যেতে পারেন। ডি এল এড করা থাকলেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এরা।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের(West Bengal Board of Primary Educaiton) পক্ষ থেকে ২০২২ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করার জন্য দ্রুত কাজ করছে শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ এর কারণে ফল প্রকাশ পিছিয়ে গিয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) স্থগিতাদেশ উঠলেই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে ইন্টারভিউয়ের(Tet Interview) ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের ডি এল এড ভার্সেস বি এড(B. ED)মামলার ফলাফলের ভিত্তিতে। রায়ের ভিত্তিতে বিএড প্রার্থীরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়াতে(Wb Teacher Recruitment) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে অনেকে মনে করছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিএড প্রার্থীদের যদি চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কিছু D.El.Ed প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া(Wb Teacher Recruitment) থেকে বাদ পড়বেন। অনেক প্রার্থীদের বিএড এবং ডি এল এড উভয় প্রশিক্ষণই নেওয়া আছে। যাদের ডি এল এড এর তুলনায় বিএড এর নম্বর বেশি আছে, তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদন করার সময় বি এড প্রশিক্ষণের ডিটেলস দিয়েছিলেন। এবং তারা D.El.Ed কোর্সের প্রশিক্ষণের তথ্য দেননি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যদি বিএড প্রার্থীদের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া(Primary Teacher Recruitment) থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ডি এল এড ডিগ্রী থাকা সত্ত্বেও যে সমস্ত প্রার্থীরা বি এড ডিগ্রির কথা উল্লেখ করেছিলেন, তারা বাদ পড়তে পারেন। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। তাই এখনই হতাশ হবার কোন প্রয়োজন নেই চাকরিপ্রার্থীদের।