টাকা-পয়সা

Post Office নাকি Bank? কোথায় টাকা জমা রাখলে বেশি লাভ? জানুন বিস্তারে।

অনেক মানুষের মনেই প্রশ্ন জাগে যে পোস্ট অফিস নাকি ব্যাঙ্ক; কোথায় টাকা জমা রাখলে বেশি পরিমাণে সুদ পাওয়া যাবে ও বেশি লাভ হবে সবদিক থেকে। আপনার মনের মধ্যে থাকা এই প্রশ্ন আমরা শুনেছি। তাই আজ নিয়ে এসেছি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে! শেষ পর্যন্ত পড়ুন প্রতিবেদনটি।

টাকা জমানোর (Money Savings) ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো উপায় হলো ‘ফিক্সড ডিপোজিট’। সুদের পরিমাণ সামান্য কম হলেও রিটার্ন (Return) পাওয়ার ক্ষেত্রে এই উপায়টি সবথেকে বেশি কার্যকরী। ঝুঁকিও (Risk) কম। ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস, দুটি ক্ষেত্রেই এই ফিক্সড ডিপোজিট করার উপায়টি বর্তমান। এবার আলোচনার বিষয় এটি যে কোথায় অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নাকি পোস্ট অফিসে অর্থ বিনিয়োগ করলে তা বেশি লাভজনক (Profitable)। দেখা যাক!

ধরা যাক কোন সাধারণ নাগরিক (Citizen) একবছরের জন্য ১,০০,০০০ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটে জমা করলেন ভারতীয় ডাক বিভাগে অর্থাৎ পোস্ট অফিসে। সেক্ষেত্রে তিনি চক্রবৃদ্ধি (Compound Interest) হারে ৬.৬ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ফলে তাঁর জমানো অর্থের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে তিনি হাতে পাবেন ১,০৬,৮০৩ টাকা।

পোস্ট অফিসে সুদের হার:

এগারো মাস এবং আঠাশ দিনের জন্য ফিক্সড ডিপোজটে অর্থ বিনিয়োগ (Money Investment) করলে যে কোনও নাগরিক পাবেন ৬.৬ শতাংশ সুদ। এক বছর থেকে এক বছর এগারো মাস সাতাশ দিন পর্যন্ত মেয়াদে টাকা জমা করলে যে কোনও নাগরিক পাবেন ৬.৮ শতাংশ সুদ। দুই বছর থেকে দুই বছর এগারো মাস সাতাশ দিনের জন্য টাকা জমা করলে যে কোনও নাগরিক পাবেন ৬.৯ শতাংশ সুদ। এইভাবেই তিন বছর থেকে চার বছর এগারো মাস সাতাশ দিনের মেয়াদে টাকা জমা করলে পাওয়া যাবে ৭ শতাংশ সুদ। হিসেবটা আশা করি স্পষ্টভাবে বোঝাতে পেরেছি আপনাদের।

মনে রাখার মতো বিষয়:

১.পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ (Investment) করলে সকল বয়সের যে কোনও ভারতীয় নাগরিক ৬.৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন।
২. এক্ষেত্রে ন্যূনতম একহাজার টাকা (One thousand Rupee) জমা করতে হবে।
৩. জমা করার কোনও নির্দিষ্ট অঙ্ক বলা নেই অর্থাৎ আপনি যত খুশি অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন।
৪. যে কোনও প্রয়োজনে যে কোনও সময় টাকা (Money) তুলে ফেলা সম্ভবপর অর্থাৎ কোনও ‘লকিং পিরিয়ড’ নেই! যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা।
৫. ক্রিসল রেটিং নেই।
৬. পোস্ট অফিসের (Post Office) ফিক্সড ডিপোজিট থাকলে কোনও ভাবে ঋণ পাওয়া যায় না। এটি একটি সমস্যা বলে গণ্য করা যেতে পারে।

পোস্ট অফিসের তুলনায় অন্যান্য ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট বা FD তে সুদের হারের কিছুটা তারতম্য দেখা দিতে পারে তবে তা একদমই অতিরিক্ত হারের ফারাক নয়।

পোস্ট অফিসে FD খোলার বৈশিষ্ট্য:

১. যেকোনো ভারতীয় নাগরিক পোস্ট অফিসে তাঁর নিজের নামে অথবা অন্য কারো সাথে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
২. এখানে চক্রবৃদ্ধি হারে ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক হারে সুদ দেওয়া হয়।
৩. পাঁচ বছরের জন্য FD তে বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় আয়কর ছাড় পাওয়া যায়।
৪. প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অবশ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় রয়েছে।
৫. যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক একক ভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সর্বোচ্চ তিনজন জয়েন্টে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
৬. দশ বছরের বেশি বয়স্ক নাবালকের নামেও কিন্তু আপনি তাদের নামে আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
৭. অপ্রাপ্তবয়স্ক বা অসুস্থ মনস্ক ব্যক্তির হয়ে তাঁর অভিভাবক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

তবে মনে রাখতে হবে যে, ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) সুদের ওপর আপনার আয়কর (Income Tax) গণনা করা হবে।

-Written by Riya Ghosh

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker