শিক্ষার খবর

উপাচার্য নেই, স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারছেন না সাঁওতালি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা।

রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের(Graduation) প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রায় শেষের পথে। অধিকাংশ কলেজেই চলতি মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ ১ আগস্ট থেকে পড়াশোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে সমস্যার মধ্যে।

উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেও উপাচার্য না থাকার কারণে সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরা মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে(Murshidabad University) স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাঁওতালি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকেরা। শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকেরা দ্রুত তাদের স্নাতক স্তরে ভর্তির দাবি জানাচ্ছেন। তা না হলে বড় কোন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, প্রায় আড়াই মাস ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কেউ কর্মরত নেই। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তিতে সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোন পোর্টাল খুলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কারণেই সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা যায়নি। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত ছাত্র ভর্তি করা যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে, শীঘ্রই নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হবে।

২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এবং সাগরদিঘী ব্লকের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে অলচিকি হরফে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠন পাঠন করানো শুরু হয়েছিল। চালু হয়েছিল দুটি সাঁওতালি মাধ্যম জুনিয়র হাই স্কুল। ২০২১ সালে সাগরদিঘী স্কুল থেকে ৪৫ জন পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তবে অলচিকি হরফে সাঁওতালি মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভর্তির সুযোগ ছিল না সে সময়। ভর্তি না হতে পারার জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে। শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অলচিকি হরফে সাঁওতালি মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি হবার সুযোগ দেওয়া হয়। গত বছরও এখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছেন, তবে এ বছর উপাচার্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। জুলাই মাস থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থী জয়িতা টুডু বলেন যে, তিনি এ বছর উচ্চমাধ্যমিক(High Secondary Exam) পাশ করেছেন। কিন্তু কলেজের পোর্টাল(College Admission Portal) খোলা না থাকায় তিনি ভর্তি হবার সুযোগ পাননি। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে অন্য জেলার কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে পারছেন না তারা। এমন পরিস্থিতিতে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker